চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে কবরীর জন্ম। ১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই। তখন তাঁর নাম মিনা পাল। বাবা শ্রীকৃষ্ণ দাশ পাল। মা লাবণ্য প্রভা পাল। ১৩ বছর বয়সে নৃত্য শিল্পী হিসাবে মঞ্চে আসেন মিনা পাল।
তখন তিনি চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গি বাজারের জে এম সেন স্কুলে পড়তেন। ১৯৬৪ সালে ক্লাস সেভেন উঠেই সিনেমার নায়িকা হয়ে গেলেন। সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ ছবিটির জন্যে মিনা পালের নাম বদলে হয়ে গেলেন কবরী।
কবরী অর্থ খোঁপা। কেশ সজ্জা। প্রথম ছবিতেই ভূবনমোহিনী হাসির জন্যে কবরীর নাম হয়ে গেলো মিষ্টি মেয়ে। পাশের বাড়ির মেয়ে। চট্টগ্রামের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী চিত্ত চৌধুরী ছিলেন সুতরাং ছবির অন্যতম প্রযোজক।
কিন্তু নায়িকা হিসাবে তাঁকে সুভাষ দত্তের পছন্দ করাটা ছিল অনেকটা তখনকার যুগের বিয়ের কনে দেখার মতো! এ গল্পটি কবরী তাঁর জীবনীগ্রন্থ ‘স্মৃতিটুকু থাক’এ লিখেছেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরডটকম প্রকাশ করেছে এই জীবনীগ্রন্থ।
সুভাষ দত্ত তাঁকে দেখতে গিয়ে বলেন, এই মেয়ে একটু দাঁড়াওতো। এরপর বললেন পেছনে ঘোরো! আবার সামনে হেঁটে দেখাও!’ এরপর বলেন চুল দেখি। দাঁত দেখি! সুভাষ দত্ত এভাবে একের পর এক বলেই যাচ্ছিলেন।
এক পর্যায়ে বলেন, কথা নিশ্চয় বলতে পারো। কিশোরী মিনা পাল তখন বিরক্ত হয়ে মাথা নেড়ে হ্যাঁ সূচক ইশারা করেন। সুভাষ দত্ত বলেন, মাথা নাড়লে চলবেনা। শব্দ করে বলো, তোমার নাম কী? মিনা পাল চুপ।
সুভাষ দত্ত আবার বললেন, ‘নাম কী’? মিনা পাল জবাব দেন, ‘মিনা’। পুরো নাম বলো। ‘মিনা পাল’। সুভাষ দত্ত বললেন, সংলাপ বলো, ‘অ্যাই ছাড়ো, কেউ দেখে ফেলবে’।
‘দেখি তুমি অভিনয় করতে পারও কিনা’। এভাবেই সুতরাং ছবির ইন্টারভ্যু শুরু হয়। মিনা পাল সাহস পাচ্ছিলেন না। বুকের ভেতর যেন কেউ হাতুড়ি পেটাচ্ছে। বাবাকে মনে প্রানে অভিশাপ দিচ্ছিলেন মিনা পাল।
কারন এই বাবাই তাকে ওখানে নিয়ে গিয়েছিলেন। সুভাষ দত্ত এক রকম ধমকের সুরে বললেন, ‘আরে মেয়ে চুপ করে আছো কেনো? এরপর একটু মোলায়েম করে বললেন, ‘বলো, প্লিজ বলো’।
এবার একটু স্বস্তি পেয়ে আস্তে আস্তে সংলাপ বললেন মিনা পাল। সংলাপ শুনে সুভাষ দত্ত বলেন, ‘এ তো দেখি চাঁটগাইয়া গলার সুর। উঁহু চলবেনা। কথা ঠিক করে বলতে হবে’।
এরপর সেখানে ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন রোডের ‘কে ফটোগ্রাফার্সের খালেক সাহেব আসেন। তিনি কিছু ছবি তুললেন মিনা পালের। ডার্করূম থেকে ছবি ওয়াশ করে পাঠিয়ে দিলেন।
কিশোরী মিনা পালের জন্যে আনা হলো শাড়ি, ব্লাউজ, কাঁচের চুড়ি। তাঁর বাবার তখন হাসি হাসি মুখ। বাবার যেন মনে হচ্ছে তাঁর মেয়েকে তাদের পছন্দ হয়েছে। মেয়ে সিনেমার নায়িকা হবে এটাতো বড় একটি স্বপ্ন।
সুভাষ দত্ত এক পর্যায়ে তাঁর বাবাকে বললেন, কৃষ্ণ বাবু, কাল বিকেল ৩ টায় আর কে মিশন রোডে মিনাকে নিয়ে আমাদের অফিসে চলে আসবেন। রিহার্সাল হবে। এরমানে মিনা পাল পাস!
এভাবে ঢাকার ছবির জগতের নতুন একটি অধ্যায়ের শুরু। চট্টগ্রাম থেকে মিনা পাল, তার বাবা আর দিদি ঢাকায় এসে সদরঘাটের এক হোটেলে উঠেছিলেন। সেখান থেকে রামকৃষ্ণ মিশন রোডে রিহার্সালে যেতেন।
কথা মতো পরের দিন তারা প্রযোজকের অফিসে গেলেন। এক হাজার এগারো টাকা দিয়ে সাইন করলেন মিনা পাল। এটি তার জীবনের প্রথম রোজগার।
রিহার্সালের প্রথম দিনে তাঁকে নেয়া হলো কে ফটোগ্রাফার্সে। আজকের যেটি সিএনজি, তখন এটির নাম ছিল বেবী ট্যাক্সি অথবা অটো রিকশা। তেমন অটো রিকশায় করে বাবার সঙ্গে রিহার্সেলে যেতেন মিনা পাল ওরফে কবরী। পরে ওই সড়কেই একটি বাসা ভাড়া নেয়া হয়।
প্রথম দিনেই কে ফটোগ্রাফার্সে তার নানা অ্যাঙ্গেলের ছবি তোলা হয়। করা হয় ভয়েস টেস্ট। শাড়ি পরিয়ে তোলা হয় ছবি। তাঁর সামনের দাঁতে পোকা হয়েছিল। সেটি পড়ে মাত্র নতুন দাঁত উঠতে শুরু করেছে।
সুভাষ দত্ত নিজে বেঁটেখাটো গড়নের ছিলেন। এরজন্যে তাঁর বিপরীতে মিনা পালের মতো একজন বেঁটেখাটো নায়িকা তিনি পছন্দ করেন। তাঁর নতুন দাঁতের নিচে ঢেউ ঢেউ ছিল। এরজন্যে তাকে পছন্দ করেছিলেন সুভাষ দত্ত।
‘সুতরাং’ এ কিশোরী প্রেমিকা জরিনার ভূমিকায় এভাবে মিনা পালের অভিষেক হয়ে যায় কবরী ওরফে জরিনা নামে। ‘সুতরাং’ ছবি মুক্তির পর চারদিকে হৈচৈ পড়ে যায়। ছবিটি সুপার ডুপার ব্যবসা করে।
ঢাকায় ভালো ব্যবসার পাশাপাশি কম্বোডিয়ার একটি চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি পুরষ্কৃত হয় সুতরাং। আজকের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ভবনটি আগে শাহবাগ হোটেল ছিল।
হোটেল শাহবাগে সম্বর্ধনা দেয়া হয় ছবির পুরো টিমকে। এখনও অনেকে কবরীকে বলেন তাদের নতুন বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে তারা উপহার হিসাবে দেখেছেন সুতরাং ছবিটি।
ওই ছবির পর ছবির অন্যতম প্রযোজক চিত্ত চৌধুরী কিশোরী নায়িকাকে বিয়েও করে নেন। তাঁর প্রথম ছেলে ‘বাবুনি’র জন্মের পর কবরী সুযোগ পান জহির রায়হানের উর্দু ছবি ‘বাহানা’য়।
শবনম তখন ঢাকাই এক নাম্বার নায়িকা। বাংলা ছবিতো বটে, তাঁকে নায়িকা করে একের পর এক জনপ্রিয় উর্দু ছবি বানানো হচ্ছিল।
কবরীর আগমন শবনমের আসন যেন অনেকটা টলিয়ে দেয়। জহির রায়হানের পর আরও কয়েকজন পরিচালক কবরীকে নায়িকা করে বানানোর উদ্যোগ নেন বেশ কয়েকটি উর্দু ছবি। কিন্তু কবরীর উর্দু ছবিগুলো দর্শকপ্রিয় হয়নি।
রূপবান ছবির সাফল্যে লোক কাহিনী ভিত্তিক ছবির ধুম শুরু হলে কবরীকে নায়িকা করে বানানো হয়, ‘আবার বনবাসে রূপবান’, ‘পারুলের সংসার’, ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘অরুন বরুন কিরনমালা’।
সাত ভাই চম্পা’ ছবিতে কবরীর ঠোঁটে গাওয়া ‘শোনেন শোনেন জাহাপনা শোনেন রানী ছয়জনা, শোনেন বলি নতুন করে পুরান ঘটনা’ গানটি বহুদিন মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে।
কবরীর ছবিগুলোর মধ্যে আছে ‘সুতরাং’, ‘জলছবি’, ‘বাহানা’, ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘আবির্ভাব’, ‘বাঁশরি’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘দ্বীপ নিভে নাই’, ‘দর্পচূর্ন’, ‘ক খ গ ঘ ঙ’। এই ‘ক খ গ ঘ ঙ’ ছবির শুটিং’এ চুয়াডাঙ্গা গিয়েছিলেন কবরী।
চুয়াডাঙ্গায় তিনি যে বাড়িতে ছিলেন সেই বাড়ির সড়কটির নাম এখনও কবরী রোড। তখন রাজ্জাক-কবরী জুটির ছবির ঢল চলছিল। ওই সময়ে উজ্জ্বলকে নায়ক করে বানানো হয় ‘বিনিময়’ এবং ‘লালন ফকির’(১৯৭০)।
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর কবরীর প্রথম হৈচৈ করা ছবি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ভারতীয় পরিচালক ঋত্তিক ঘটকের ছবি ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। একই বছরে মুক্তি পাওয়া রাজ্জাক-কবরীর ‘রংবাজ’ বদলে দেয় ঢাকাই ছবির নিশানা।
মুক্তিযোদ্ধা প্রযোজক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা নাম নিয়ে নায়কের খাতায় নাম লেখান ১৯৭৪ সালে। নায়িকা কবরী। ছবি ‘মাসুদ রানা’। ফারুক-কবরীর মাইস্টোন ‘সুজন সখী’ মুক্তি পায় ১৯৭৫ সালে।
জাফর ইকবাল-কবরীর ছবি ‘সাধারন মেয়ে’ ১৯৭৫ সালে মুক্তি পায়। তাঁর আরও কিছু স্মরনীয় ছবিগুলো ‘গুন্ডা’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘ময়নামতি’, ‘আগন্তুক’, ‘আঁকাবাঁকা’, ‘কত যে মিনতি’, ‘অধিকার’, ‘স্মৃতিটুকু থাক’।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের অমর উপন্যাস অবলম্বনে আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘সারেং বৌ’ ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭৮ সালে। ফারক-কবরী জুটির ‘সারেং বৌ’ ছবির ওরে নীল দরিয়া’ গান আর ছবিটা সবাই মনে রাখবে।
মিষ্টি মেয়ে কবরীর আরও কিছু স্মরনীয় ছবি ‘বধূ বিদায়’, ‘আরাধনা’, ‘বেঈমান’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘কাঁচ কাঁটা হীরা’, ‘উপহার’, ‘আমাদের সন্তান’, ‘মতিমহল’, ‘পারুলের সংসার’, ‘অরুন বরুন কিরনমালা’, ‘হীরামন’, ‘দেবদাস’, ‘আমার জন্মভূমি’, ‘দুই জীবন’।
রাজ্জাক-কবরী জুটি বাংলাদেশে উত্তম-সূচিত্রা জুটির সমাজ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।আবার কবরী ফারুকের ছবি ‘সুজন সখী’ দেশের বিভিন্ন সিনেমাহলে সারা বছর ধরে চলেছে। তখন দেশে ফারুকের নাম সুজন, কবরীর নাম হয়ে যায় সখী।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল ত্রিপুরার আগরতলা গিয়ে পৌঁছেন কবরী। তাঁর সে অধ্যায়টির বিস্তারিত আমার ‘একাত্তরের আগরতলা’বইতে আছে। মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে অনেকপথ হেঁটে এক কাপড়ে তিনি আগরতলা গিয়ে পৌঁছেন ।
সেখানে কাউকে তিনি চেনেননা। তখন এমন ভারতে গিয়ে যারাই উঠেছেন তাদের সিংহভাগ কেউ কাউকে চেনেননা। কবরী গিয়ে ওঠেন আগরতলার একটি সাধারন মানের হোটেলে।
কিন্তু তাঁর আগরতলা পৌঁছার খবরে সেখানে ভিন্ন এক বিপত্তির সৃষ্টি হয়। নায়িকা কবরী এসেছেন এ খবরটি মুহুর্তে চাউর হয়ে যায় সেই ছোট শহরে। খবর পেয়ে আগরতলায় থাকা শরণার্থীরা কবরীকে এক নজর দেখতে হোটেলের সামনে গিয়ে ভিড় করেন।
এতে করে হোটেলটির চারপাশের রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আগরতলার সাংবাদিক অনিল ভট্টাচার্য্যের জন্ম কুমিল্লায়। তাঁর স্ত্রী গৌরী ভট্টাচার্য ছিলেন আগরতলা হাসপাতালের স্টাফ নার্স।
তাদের সরকারি বাড়িটি তখন আগরতলায় মোটামুটি বাংলাদেশের তথ্য কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশের সামরিক-বেসামরিক নেতাদের মিটিং পয়েন্ট হয়ে উঠেছিল টিনের চালার ছোট্ট সেই বাড়ি।
কবরীকে নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি থেকে উত্তরনে পরামর্শ চেয়ে হোটেল মালিক অনিল ভট্টাচার্যকে ফোন করেন। তাঁর পরামর্শে একটি রিকশায় করে কবরীকে তাদের বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
গৌরী ভট্টাচার্য নিজের ছোটবোনের মতো তাঁকে তাদের সংসারে বরন করে নেন। তাঁর একটি ভালো শাড়ি তোয়ালে কবরীকে দিয়ে বলেন আগে স্নান করে ফ্রেশ হয়ে নাও।
এরপর গৌরী বৌদির আদরে অনেক দিন পর ভাত খেলেন ক্ষুধার্ত কবরী। এরপর বিশ্রাম নিতে গেলেন। নায়িকা সংবাদ কলকাতায় পৌঁছানো হলে বাংলাদেশের শিল্পী-সাংবাদিকদের পরামর্শে তাঁকে সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
বাংলাদেশের শিল্পী-সাহিত্যিক-সাংবাদিকদের যে দলটি সারা ভারত ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনের কাজ করেন কবরী ছিলেন সে দলে। ওই সময়ে মুম্বাইতে একটি ছবিতেও তিনি অভিনয় করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর চিত্ত চৌধুরীর সঙ্গে কবরীর সংসার আর বেশি দিন স্থায়ী হয়। নারায়নগঞ্জের ওসমান পরিবারের ঘরনী হবার পর তাঁর নতুন নাম হয় কবরী সারোয়ার। এখন তিনি শুধু সারা বেগম কবরী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধা কবরীকে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়ে সম্মানীত করেছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে নারায়নগঞ্জ থেকে এমপি নির্বাচিত হন সারাহ বেগম কবরী। কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক জীবন ভালো কাটেনি।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের সোনালী সময়ের বিশেষ একটি অধ্যায়ের নাম কবরী। সুতরাং’ এর জরিনা, সাত ভাই চম্পা’র পারুল, সুজন সখী’র সখী, সারেং বৌ’র নবীতুন সহ তাঁর অজস্র সৃষ্টির কবরীকে ভুলবেনা বাংলাদেশ।
আরেকটি কাকতালীয় বিষয় সুজন সখী’র ‘সুজন’ ফারুক, ‘সখী’ কবরী দু’জনকেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিয়ে এমপি করে সম্মানীত করেছেন শেখ হাসিনা।! এই দুই তারকাই একাত্তরের মুক্তিসেনা।
বাংলাদেশের কত রথি-মহারথি চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব মুক্তিযুদ্ধে যাবার তাগিদ বোধ করেননি! সেখানেও কবরী ব্যতিক্রম। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা অতুলনীয়।
কবরী এমন আমাদের অনেক সুন্দর স্মৃতি। তাঁর ব্যাপারে সহশিল্পী ফারুক বলেছেন, ‘ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে তাঁর মুখ-শরীর পর্যন্ত অভিনয় করতো। কবরীকে কখনও অভিনয় করতে হয়নি।
ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি যা করতেন সেটাই অভিনয় হয়ে যেত’। এমন দ্বিতীয় কাউকে কী কোন দিন বাংলাদেশ পাবে? ভালো থাকবেন প্রিয় দর্শিনী।